জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী ১৮ অক্টোবর আজ শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মদিনে রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতাকে খুব বেশি কাছে পাননি কিন্তু তিনি জাতির পিতাকে অনুসরণ করতেন। শিশু বয়সেই তিনি মুজিব কোট, প্রিন্স স্যুট পরতেন এবং জাতির পিতার মতো উন্মুক্ত চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলোকিত করে ফুটফুটে শেখ রাসেলের জন্ম হয়েছিল। শেখ রাসেলের জীবনকাল এতই ছোট, এতই ক্ষণিকের ছিল যা বাঙালি জাতিকে মর্মাহত করেছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের হাতে বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের শিশু সন্তান শেখ রাসেলকে নিহত হতে হয়েছিল। বাঙালি জাতি-সহ সারা বিশ্ব সেই ১৫ আগস্টের জাতির পিতার সপরিবারের ভয়ঙ্কর নৃশংস হত্যাকান্ডে বিস্মিত হয়েছিল। সেইদিন বিশ্বনেতারা জাতির পিতার সেই হত্যাকান্ডেকে মেনে নিতে পারেন নাই এবং ধিক্কার জানিয়েছিলেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যজন ম. হামিদ, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ।