অনলাইন ডেস্ক : চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল না করে সংস্কার কথার পক্ষে মত দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এক্ষেত্রে কমিটি কোটা পদ্ধতি সহজীকরণের কথা বলেছে। এদিকে মন্ত্রণালয় বলেছে তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে, তিনি যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেটাই করা হবে।
রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি কমিটির বৈঠকের কার্যসূচিতে না থাকলেও এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান। বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় কমিটির সদস্যরা কোটা পদ্ধতি সহজীকরণের সুপারিশ করেছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতিহাসের (মুক্তিযুদ্ধ) প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। আঞ্চলিকতার প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। পিছিয়ে পড়া নৃগোষ্ঠীর প্রতিও আমাদের দায় আছে। সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে আমরা কোটা পদ্ধতি সহজিকরণের কথা বলেছি। যুক্তিযুক্ত সংস্কারের কথা বলেছি। পাশাপাশি এই কোটা নিয়ে যেন কোন ষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধি না হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে জনপ্রশাসন সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেছেন কোটা পদ্ধতি নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। তিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরে যেভাবে নির্দেশনা দেন। আমরা কমিটি করে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবো।
বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতি পূর্ণবহালের সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, এনসিআরটিএ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে নিয়োগ দিচ্ছে তাতে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এক একজন ব্যক্তিদের অনেক দূর দুরান্তে নিয়োগ দেয়া হয়। অনেকের দেশপ্রেমের বিষয়টি দেখা হয় না। প্রকৃত মেধার যাচাই হয় না। এজন্য আমরা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ নিতে বলেছি।
কমিটি আগামী অর্থ বছরে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণ এবং এমপিওভক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। জেলা শহরে অনেক অনঅনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সে গুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে একটি নীতিমালার আওতায় আনার বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।