বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ২৩৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি অনুষদের ডিনসহ দুজন অধ্যাপক। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কেউ এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।

সভায় অংশ নেয়া দুজন অধ্যাপক জানান, একাডেমিক কাউন্সিলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সব দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বিচ্ছিন্ন ভর্তি পরীক্ষার শ্রম, অর্থ ও সময়ের ব্যয় কমাতে যে দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন এর প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্মান জানিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যবোধ, ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের বিষয়টিকেও অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। তাই এ বছর ইউজিসির তত্ত্বাবধানে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আমরা অংশগ্রহণ না করে পর্যবেক্ষণ করবো। ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষাকেন্দ্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক হুমকি ও প্রভাবের বিষয়গুলোও প্রাধান্য পেয়েছে আলোচনায়। আলোচনা শেষে এ বছরই অংশগ্রহণ না করে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে বিকেলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।