অনলাইন ডেস্ক: ২৫ বছর বয়সী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের এক যুবতী চাকরির খোঁজে ঢাকায় এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ওই নারী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কে বা কারা সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে রেখে গিয়েছিল তা এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।
এই ধর্ষণের ঘটনাটি গুলিস্তানের আশেপাশের কোন এলাকায় ঘটেছে, তবে পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছিল বলে জানালেও সুনির্দিস্টভাবে কোথায় তা বলতে পারেননি এই নারী।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই বাবুল মিয়া জানান, সকালে জরুরি বিভাগের সামনে চাদর মোড়ানো বিধ্বস্ত অবস্থায় এই নারীকে পাওয়া গেছে।
ঢামেক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানান, “মেয়েটির জননাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পায়ের নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে বলছে, কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে।”
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা নেয়া হয়েছে।”
বেশ কিছুদিন আগে ওই নারীর, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তার এক ছেলে রয়েছে। চাকরির জন্য ঢাকায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ঢাকায় আসার পর গুলিস্থানে সৎ বোনের বাসায় উঠেছিলেন এই নারী। ওই বাসাই রাতভর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এএসআই বাবুল মিয়া বলেন, “কারা তাকে ফেলে গেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে তার সৎ বোন ধর্ষণে সহায়তা এবং চার-পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে।”
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ থানায় জানানো হলে থানা পুলিশও তৎপর হয়।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর বলেন, ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে তারা জেনেছেন যে তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
“সে যে সৎ বোনের বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সেখানকার ঠিকানা বলতে পারেন না। তবে তার বর্ণনা অনুযায়ী স্থানটি রাজধানীর গুলিস্থান সংলগ্ন মুরগিপট্টি কাপ্তান বাজার এলাকা হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তা জাফর বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও করা হবে।” একটু সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতেই ওই নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থলের অনুসন্ধানে যাবেন। তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে