দর্পণ ডেস্ক : বিবিসি জানায়, রোববার রাতে বেশ কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি ইউয়েন লংয়ের এমটিআর স্টেশনে যায়। তাদের প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। একপর্যায়ে তারা স্টেশন ও ট্রেনের বগির ভেতরে থাকা মানুষকে আক্রমণ করতে শুরু করে। এ ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। ঠিক কী উদ্দেশে বা কোন বিক্ষোভের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে, তার সুরাহা হয়নি এখন পর্যন্ত। হামলাকারীদের পরিচয় জানাতে পারেনি হংকং পুলিশ।
হংকংয়ে একটি রেলস্টেশনে অস্ত্রধারীদের অতর্কিত হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৪৫ জন আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রোববার (২১ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় দেশটির ইউয়েন লং এলাকায় অবস্থিত রেলস্টেশনে এ হামালার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ জনগণের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ মুখোশধারীরা সবাই সাদা পোশাক পরিহিত ছিল এবং সবার হাতেই ছিল অস্ত্র। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার।
এক বিবৃতিতে সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, হংকংয়ে যেখানে আইনের শাসন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা হয়, সেখানে এমন ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। শিগগিরই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে ও মুখোশধারীদের খুঁজে বের করা হবে। সে লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে হংকং পুলিশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে। গতকালই পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভ বানচাল করে দেয়।
সেই ঘটনার রাতেই ইউয়েন লংয়ের এমটিআর স্টেশনে এ হামলার ঘটনা ঘটল। সেই বিক্ষোভের সঙ্গে এ হামলার যোগসূত্রতা আছি কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও হংকংয়ের মূল প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত ইউয়েন লং। এ ছাড়া প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভের স্থান থেকেও দূরে রয়েছে এলাকাটি।