দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশের হকিতে শুরু হতে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে এই লিগ মাঠে গড়াবে। এ উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘এইস’ এর সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে হকি ফেডারেশনের। অনুষ্ঠানে হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফের হাতে ১ কোটি টাকার চেক তুলে দেন এইসের চিফ প্যাট্রন ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাসভির।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশগ্রহণকারী ৬টি করপোরেট দলের একটি হলো বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মোনার্ক মার্ট। ক্রিকেটার হয়েও হকির দল গঠনের পেছনে সাকিব শোনালেন খেলাটির প্রতি তার আবেগ এবং দায়িত্বশীলতার কথা। সোমবার চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘বিকেএসপিতে পড়ার সময় জিমি ভাই, চয়ন ভাইদের খেলা দেখতাম। আমার রুমমেট ছিল একজন হকি খেলোয়াড়। তখন বিকেএসপিতে অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হতো। আমরা সবাই খেলা দেখতে যেতাম। সমর্থন দিতাম বিকেএসপি দলকে। ওরা জিতে এলে আমরা হোস্টেলে অনেক মজা করতাম। এগুলো আসলে মজার স্মৃতি। ‘
শুধু আবেগ নয়, হকির উন্নতির জন্য অবদান রাখতে চান বলে জানালেন সাকিব, ‘খেলার সঙ্গে থাকাটাই আমাদের একটা বড় ব্যাপার। আর বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলাধুলায় অনেক কিছু করার সম্ভাবনা আছে। সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছে। আমরাও আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করা শুরু করলাম। আমাদের হকিতে অনেক সম্ভাবনা আছে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আমরা ২৭তম স্থানে আছি। ১৬টি দেশ বিশ্বকাপ খেলে। কাজেই বিশ্বকাপে খেলা তো বেশি দূরের ব্যাপার না। আমার বিশ্বাস যদি হকিটা সঠিকভাবে প্রচার-প্রচারণা পায় এবং ভালোভাবে সবাই উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমরা বিশ্বকাপে খেলতেই পারি। ‘
নিজ দলের খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা আর চাকরির বিষয়টিও সাকিব সামনে আনেন, ‘যেহেতু একটা দল নিয়েছি। আমাদের চিন্তা থাকবে কীভাবে এই দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ভালো হয় এবং আমরা যদি সেটার একটা রোলমডেল হতে পারি, অন্যরা সেটা হয়তো অনুসরণ করতে পারবে। তাতে সামগ্রিকভাবে হকিরই একটা উন্নতি হবে। খেলোয়াড়দের সবার ক্যারিয়ার ১০-১৫ বছরের বেশি থাকে না। যারা সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়, তাদের চাকরির সুযোগ ও আর্থিক নিরাপত্তা যদি দিতে পারি, তখন খেলোয়াড়েরা খেলায় অনেক বেশি মনোযোগ দিতে পারবে। ‘

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.