দুর্ঘটনায় দুই ছেলে ও কয়েকজন স্বজনসহ নিহত হন তিনি। ছেলের বিয়ের আংটিটি রয়েছে পুলিশের হেফাজতে
ছেলে ইমনের বিয়ের জন্য পাত্রী পছন্দ করতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্বাছ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন নিকটাত্মীয়। হয়তো ইচ্ছে ছিল ধুমধাম করে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করার। কিন্তু বিয়ের পাকা কথা আর দেওয়া হলো না, হবিগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কান্দিগাঁও এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। মারা যান বাবা-ছেল দু’জনই।
শুক্রবার (৬ মার্চ) সকালে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪ জন। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হতাহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ এরশাদুল হক ভূইয়া।
তিনি জানান, নিহত আব্বাছ উদ্দিন ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকায়। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ছেলে ইমনের বিয়ের জন্য শুক্রবার সকালে পাত্রী দেখতে দিরাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কান্দিগাও এলাকায় সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্বাছ উদ্দিন, ইমন, তার ছোটভাই রাব্বিসহ ৮ জন। সিলেটে মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর আরও ১ জন মারা যায়।
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ৯
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে শেরপর হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহত আব্বাছ উদ্দিনের পকেট থেকে পাত্রীর জন্য নিয়ে যাওয়ার স্বর্ণের আংটি উদ্ধার করা হয়। আংটিটি বর্তমানে হাইওয়ে থানায় রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী জানান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু চাই না।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, নিহতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।
নিহতরা হলেন- আব্বাছ উদ্দিন, তার ছেলে ইমন ও রাব্বি, নিকটাত্মীয় রাজিব, আসমা, সুমনা, মহসিন, ইমরান। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।