সৈয়দা ফাহিমা বেগম

‘প্রায় ৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে, তবে বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে’

সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে শিক্ষাসফরের বাসের ধাক্কায় রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের (৫০) অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তার বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “বিকেল ৫টা থেকে শুরু করে প্রায় ৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘন্টা না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষাসফরের বাসে থাকা অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে বিকেলে  গোপালগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয় তাকে।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষাসফর ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ছয়টি মিনিবাস ও মাইক্রোতে করে ১২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। 

দুর্ঘটনাকবলিত বাসে শিক্ষিকা ফাহিমাসহ ৩১ জন শিক্ষার্থী ছিলো। বাসটি পাথালিয়া পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফাহিমা বেগমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা সফরের বাস সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে শিক্ষিকাসহ ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।