সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি কনসালট্যান্ট পদের ৯টিই শূন্য রয়েছে। কার্ডিওলজিস্ট ডা. আবদুল মতিন আছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে। এ উপজেলায় ১৩৭টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৭২টি পদ শূন্য রয়েছে। দাগনভূঞায় পাঁচটি কনসালট্যান্ট পদের চারটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত ১৪৮টি পদের মধ্যে ৫১টি পদ শূন্য রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে এ জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অবসর ও বদলির কারণে শূন্যপদ বাড়ছে।

আরো জানা গেছে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৩৪টি পদের মধ্যে ১৪টি, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ২৫৩টি পদের মধ্যে ৬৪টি, বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে ১৬টি পদের মধ্যে ১৩টি, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১৭টি পদের মধ্যে ১১টি, ট্রমা সেন্টারে ২৩টি পদের মধ্যে ১৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে ১৬৬টি পদের মধ্যে ৭৪টি, ছাগলনাইয়ায় ১৫৪টির মধ্যে ৬৯টি, ফুলগাজীতে একশ পদের মধ্যে ৩৭টি, ফেনী সদরে ১২৭টির মধ্যে ৪৩টি পদ শূন্য পড়ে আছে।

দাগনভূঞার স্বাস্থ্য ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, চিকিৎসক সংকট কিছুটা কাটিয়ে ওঠা গেছে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ শূন্য থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে কষ্ট হয়। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এমনকি দাফতরিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, শূন্যপদের বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে হয়। আদালতের একটি রিটের কারণে নিয়োগ বন্ধ আছে।