মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে আয়োজিত উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এসব কথা জানানো হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২ বছর মেয়াদী প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমা চালু হচ্ছে। ফলে নিজ নিজ বিভাগে ভর্তিকালীন সময়ে বাৎসরিক ২৫০ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে এ বীমার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য এ বীমা বাধ্যতামূলক। অধ্যয়নরত অবস্থায় কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে অথবা ছাত্রত্ব শেষ হলে এ বীমা পরিসমাপ্ত হবে।
বীমাকৃত শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক প্রিমিয়াম ও প্রাপ্ত সুবিধাসমূহের মধ্যে রয়েছে- বাৎসরিক প্রিমিয়াম, বীমাকৃত শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি মৃত্যুজনিত দাবী বাবদ ২ লক্ষ টাকা, হাসপাতালে ভর্তিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৮০ হাজার টাকা। যা প্রতি ৩ মাস পরপর বছরে ৪ বার পেতে পারে। তবে বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বছরে ২০ হাজার টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা। যেখানে তাদের প্রতিমাসে একাধিকবার কনসালটেন্সি ফি, মেডিকেল ফি, প্যাথলজি ফি ইত্যাদি বাবদও এ অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বীমা চালু হলে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এ্যাকাউন্টে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
সভায় জেনিথ ইন্স্যুরেন্সের ডেপুটি ভাইস-প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা প্লে স্টোর থেকে ‘জনিথ ইসরামী লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেড’ আ্যাপ ডাউনলোড অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সম্পুর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রিমিয়াম পরিশোধ করে বিনিময়ে জীবন বীমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে তার পরিবার এককালীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা
সভায় ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে ২ বছর মেয়াদী এই বীমা প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে অর্থের অভাবে সে খারাপ কোনো পরিণতির শিকার না হয়। কেননা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবার থেকেও পড়াশোনার জন্য আসে শিক্ষার্থীরা।
ভিসি আরো বলেন, এ প্রকল্পের সব কার্যক্রম হবে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। ফলে শতভাগ নিরাপদ ও জবাবদিহিতা জায়গা রয়েছে। এখানে কোনো ধরণের দুর্নীতির সুযোগ নেই। তাই সব শিক্ষার্থীকে এ বীমার অন্তর্গত হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সহায়তায় করার আহ্বান জানান ভিসি।
এসময় সভায় প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরি মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।