দর্পণ ডেস্ক : মোবাইলে ভুল নাম্বারে কল দিল কিশোর। ওপার থেকে এলো কোকিল কণ্ঠের আওয়াজ। ১৫ বছরের কিশোর তো একদম প্রেমে পড়ে গেল ওই কোকিল কণ্ঠের।
এক মাস ধরে প্রেমপর্ব চলেছে মোবাইলে। এর পর কিশোরের জেদে দেখা করার পালা। কিন্তু ওই কোকিল কণ্ঠের আবদার দেখা করলে বিয়েও করতে হবে। কিশোর তো এক পায়ে খাড়া।
কিশোরটি তখন পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কন্যাপক্ষ তাকে ধরে বেঁধে ওই বৃদ্ধার সঙ্গেই বিয়ে দিয়েছে। বউ নিয়েই বাড়ি ফিরেছে সে। বউয়ের বয়স শাশুড়ির থেকেও বেশ কয়েক বছর বেশি। নতুন বউমার দাবি, কাজী বিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর ঘরেই সে থাকবে।
ঘটনাটি ঘটেছে আসামের গোয়ালপাড়া জেলার শিমলিতোলা এলাকার হেপচাপাড়া গ্রামে।
রাজমিস্ত্রির কাজ করা কিশোর জানায়, মাসখানেক আগে বঙাইগাঁওয়ে একজনকে ফোন করতে গিয়ে ভুল নাম্বারে ফোন করায় তা চলে যায় বরপেটা জেলার সুখারচর গ্রামে, ওই মহিলার মোবাইলে। সেই শুরু। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। কিশোর বারবার দেখা করতে চাপ দেয়।
ফোনের অপরপ্রান্ত জানায়, একেবারে বিয়ে করতে হবে। গত মঙ্গলবার প্রেমিকার বাড়িতে যায় কিশোর। বাড়ির লোক কাজী ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করে। ঘটনা জানাজানি হতেই ‘নতুন বউ’ দেখতে আশপাশের গ্রামের লোক ভিড় জমায় বাড়িতে। এদিকে বাড়িতে বউ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ছেলেটি।
বিয়ে মানতে নারাজ নাবালক ছেলেটির পরিবার ও গ্রামের মানুষ। অল অসম মুসলিম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আমসু) বিষয়টির নিষ্পত্তিতে এগিয়ে এসেছে। কিশোর ছেলেকে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনা জানতে পেরে চাইল্ডলাইন বিষয়টি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনেও জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বর্ণালি ডেকা জানান, এখনও পুলিশে অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন মেনেই ব্যবস্থা হবে।