অনলাইন ডেস্ক : ক্যান্সার গবেষণায় আলোকবর্তীকা হিসেবে খ্যাত চিকিৎসক নাজনীন রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক উত্ত্যক্ত ও দুর্ব্যবহার অভিযোগ আসার পর লন্ডনের ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইসিআর) থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন।
গত ১২ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত, দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইসিআরের প্রজনন শাস্ত্র ও রোদবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজনিন রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানি এবং উত্ত্যক্তের অভিযোগ তুলে সাবেক ও বর্তমান ৪৫ কর্মকর্তার সই করা একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
এর পর গত বছরের নভেম্বরে তাকে সাময়িক ছুটি দেয়া হয়েছিল।
চিঠিতে দাবি করা হয়, নাজনীন রহমানের ব্যবহার মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষতিকর ও ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করে দেয়। তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ রয়েছে খুবই গুরুতর।
চিঠিতে সই করা ৪৫ কর্মচারীর মধ্যে ২২জনই সরাসরি তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এতে কর্মপরিবেশে ভীতিসঞ্চার, বৈরিতা, অমর্যাদা ও অবমাননাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাকি ২৩ কর্মকর্তা রয়াল মার্সডেন হাসপাতালে অধ্যাপক নাজনীনের দুর্ববহারের প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করেছেন।
ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসায় নাজনীন রহমানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে। স্তন, ডিম্বাশয় ও শৈশবের ক্যান্সারের জন্য দায়ী জিন শনাক্তে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
অধ্যাপক নাজনীন চিকিৎসাখাতে অবদানের জন্য বহু স্বীকৃতি ও পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি একজন গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী।
অভিযোগকারীরা বলেন, তার বিরুদ্ধে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আইসিআর জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে।উত্যক্ত কিংবা নির্যাতনের কোনো অভিযোগ পেলে তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।
নাজনীন রহমান আগামী অক্টোবর থেকে আইসিআরে থাকছেন না।
তিনি বলেন, ক্যান্সারকে হারাতে তিনি এবং তার দল যা করেছেন, তাতে তিনি গর্ববোধ করেন। কিন্তু যারা বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, একটি বিষয় আমি পরিষ্কার করতে চাই, তা হল, তদন্তে আমার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তথ্য নেই। কাজেই এখান থেকে অব্যাহতি নেয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।