সাইফুল্লাহ নাসির ,বরগুনা প্রতিনিধিঃ টাকা না দেয়ায় কুপিয়ে তিন সন্তানের মা স্ত্রী ছকিনা বেগমের গাল ও কান কেটে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী হাবিব খাঁন।অসহায় এ নারী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।অর্থাভাবে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না তার।খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের বেডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামে।
জানা গেছে,পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের কন্যা ছকিনা বেগম।জন্মের দু’বছরের মাথায় পিতা-মাতাকে হারিয়ে এতিম হয় ছকিনা।কলাপাড়ার কলাচানপাড়া রাখাইন উপজাতি মইয়্যা বাবুর ঘরে বেড়ে উঠেন তিনি।২০০৩ সালে আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের হাবিব খানের সাথে তার বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে ছকিনা দিন মজুরের কাজ করে স্বামীর সংসার পরিচালনা করে আসছে।তাদের দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তানের জন্ম দেয় ছকিনা।
এদিকে স্বামী হাবিব খান ২০০৬ সালে কক্সবাজারে দ্বিতীয় বিয়ে করে।দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা বেগমের সাইথে বসবাস তার।প্রথম স্ত্রী ছকিনাকে ভরণপোষণ দিচ্ছিলনা।তাতেও সমস্যা ছিলনা,কিন্তু প্রায়ই স্বামী হাবিব খাঁন সকিনার কাছে টাকা দাবী করত।গত মঙ্গলবার রাতে হাবিব খান ছকিনার কাছে টাকা চায়।সকিনা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিব খান সকিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।এতে ছকিনার বাম গাল ও কান কেটে যায়।সকিনার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।খবর পেয়ে পুলিশ হাবিব খানকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

রবিবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে,গত পাঁচ দিন ধরে ছকিনা হাসপাতালে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।অর্থাভাবে তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না।খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, ছকিনার মুখের বাম অংশ থেকে শুরু করে কান পর্যন্ত কেটে গেছে।
আহত ছকিনা বেগম জানান,জন্মের পরেই মানে মোরে পালছে।মানের বাড়ী কাম হইর‌্যা বড় অইছি।মানে মোরে বিয়া দেছে।বিয়ার পর অইতে স্বামীর লগে দিন মজুরের কামহইর‌্যা সোংসার চালাই।স্বামী দ্বিতীয় বিয়া হরছে।হেইয়্যার পর হইতেই মোরে স্বামী এ্যাকছের জালায়।প্রায়ই আইয়্যা টাহা চায়।টাহা না দেলে মারে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন,খবর পেয়ে স্বামী হাবিব খানকে আটক করা হয়েছে।