অনলাইন ডেস্ক : বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো আজও বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সড়ক অবরোধের সঙ্গে যোগ হয়েছে শিশু শিক্ষার্থীদের সড়ক পথে বাস ড্রাইভারদের লাইসেন্স চেকের দৃশ্য।
রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে মঙ্গলবার সকালে বাস থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার দৃশ্য দেখেছেন দুইজন সাংবাদিক।
প্রথম আলোর সাংবাদিক অপূর্ণ রুবেল ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, বহুদিন পর মনে হলো একটা অসাধারণ দৃশ্য দেখলাম। সকাল বেলাই মনটা আনন্দে ভরে উঠলো। এত এত হতাশার মধ্যে কেউ একজন আছে জানতে চাওয়ার, আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব কি না! প্রচুর অযোগ্য মানুষের হাতে স্টিয়ারিং চলে যাওয়া এই দেশ এখনো পথ হারায়নি বোধহয়।
আজ সকালে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়েছে আশপাশের স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না! থাকলে চলে যাও। না হলে যাত্রী নামিয়ে চালক ও গাড়ী আটক ও মৃদু ভাংচুর।
এই দৃশ্য স্বচক্ষে দেখার একটা আনন্দ আছে। যে কাজটা পুলিশের করার কথা, যে কাজটা ক্ষমতাবানদের করার কথা, যে কাজটার জন্য দিব্যি একটা প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, সেই কাজটা শুরু করেছে ছাত্ররা।
এই লজ্জা মাথায় নিয়েই তো ক্ষমতাবানদের তিনবার মরে যাওয়া উচিত। যদিও তাদের লজ্জাশরম আছে বলে আমার জানা নাই। আপনাদের জানা থাকলে বইলেন।
এদিকে একই ঘটনার আরেক সাক্ষী যুগান্তরের সাংবাদিক আনিন্দ্য মামুন ফেসবুকে লিখেছেন, বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। অফিসে আসতে লেট হচ্ছিল। অন্যদিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে কান্না চলে আসে। বিরক্ত লাগে। মনে হয় শহর ছেড়ে মায়ের কোলে ফিরে যাই।
আজ ভালো লাগলো। একটুও বিরক্তি লাগলো না। কাওরান বাজার নবম-দশম কিংবা ইন্টারমিডিয়েট শ্রেণীর ছাত্ররা বাস ভাঙ্গছে। অহেতুক কারণে নয়, প্রথমে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে?
ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? নাই! তাহলে এই গাড়ি যাবে না বলেই এলোপাথাড়ি ভাংচুর। বিষয়টি সিনেমাটিক মনে হলো। এমন করে বাঙলা ছবির নায়কদের দেখেছি।
সূত্র: যুগান্তর