অনলাইন ডেস্ক :  ফরিদপুরে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে সোমবার সকালে নিজ বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুরে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় তারেক মাসুদের মা নুরুন্নাহার বেগম, তারেক মাসুদের ভাই সাঈদ মাসুদ ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক মাসুদের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, তারেকের নামে লাইব্রেরি ও জাদুঘর নির্মাণের, যার মধ্য দিয়ে তারেক মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবে।’

এছাড়া আয়োজন করা হয় স্মরণসভা, গুণীজন সম্মাননা প্রদান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার পুখরিয়ায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন ওই মাইক্রোবাসে থাকা তারেকের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চিত্রশিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেকের প্রোডাকশন ইউনিটের সহকারী সাইদুল ইসলাম।

মুক্তির গান, মাটির ময়না, আদম সুরত ও রানওয়ে সহ অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রের নির্মাতা ছিলেন তারেক মাসুদ। এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন ৫ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। শৈশবে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেছেন। তারপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে ঢাকা চলে যান। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন।