দর্পণ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় অনাবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরবি এবং বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের আয়োজিত এক আলোচনায় এনআরবি’র চেয়ারপারসন এমএস শেকিল চৌধুরী বলেন, ভারতীয়রা বাংলাদেশে কাজ করে (প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা) উপার্জন করেন। আমরা চাই বাংলাদেশিরাও ভারতে কাজের সুযোগ পাক।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন ২০৩০-এর মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ৩০টি সর্ববৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলে আসবে। আর আমরা সেই স্বপ্ন সফল করার কাজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনআরবি সারা বিশ্বে কনফারেন্স করছে। কলকাতায় আজকের অনুষ্ঠানের পর এনআরবি বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে যেমন- আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং দুবাইতেও একইরকম অনুষ্ঠান করবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারবার ঘুরে আসে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শেকিল চৌধরী বলেন, ‘আমরা আপনাদের বাংলাদেশে নিমন্ত্রণ করতে চাই’।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর গবেষণা পরিচালক খ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা চাই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগ করুক’।
নিজের বক্তব্যে উনি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে সহজ নিয়ম-কানুন আছে, তা বারবার তুলে ধরেন।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আমাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানির জন্য তিনটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন করা হয়েছে। তাই ভারতীয় কোম্পানিগুলো চাইলে সহজেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসতে পারে’।
ভারত বিভিন্ন দেশে অনেক বিনিয়োগ করছে। আমরা আশা করবো এবার বাংলাদেশেও বিনিয়োগ হবে, আশাবাদ প্রকাশ করেন মোয়াজ্জেম।
অর্থনীতি নিয়ে আলোচনায় বারবার উঠে আসে গত সাত বছরে কীভাবে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বাণিজ্য ঘাটতি ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৬.২ বিলিয়ন হয়েছে। ফলে আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে যেন ভারতে রপ্তানি আরো বাড়ে। তাহলেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।’