দর্পণ ডেস্ক : মাল্টাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি এ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুণর্মিলনী বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশন এর উদ্যেগে ইউরোপের মাল্টাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি এ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার সন্ধা সারে ছয়টায় মসিদা পারিশ গির্জায় সংলগ্ন ক্যাফে পুণর্মিলনীটি অনুষ্ঠিত হয়ে চলে রাত ১১ পর্যন্ত। প্রবাসিদের মানবঅধিকার প্রতিষ্ঠা ভিশন নিয়ে এ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধাব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে ছিল লটারি প্রতিযোগীতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি আপেল আমিন কাওসারের সভাপতিত্বে এবং সহ সভাপতি সবুজ মিয়া, সক্রেটারি কাজেম আলি স্বপন এবং ভাইস চেয়ারম্যান জাকারিয়া মুন্সী সহ রাজিব দাস এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেযারম্যান ডাক্তার এস বি দাস অন্যান্য অতিথি মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো:সোহাগ, বিপুল দাস, মো: মাসুদ,এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নজরুল ইসলাম, আবদুস সালাম, ইসলাম শহীদ, সাইদুর রহমান আল আমিন সহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশন (মাল্টা) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আপেল আমিন কাওসার তার সক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশন ২০১৮ শুধুই ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানই নয়। এর মাধ্যেমে আমাদের একত্রিত হয়ে এক সঙ্গে ভালভাবে বসবাস করাটাই হলো আমাদের মূল ভিশন। আজকে বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিযশেন যে আনুষ্ঠানিক সভার ঘোষণা করেছে আপনারা যারা এখানে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি একিসাথে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা সালাম জানাচ্ছি। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে ভবিষৎ এ আমাদের এ সংগঠনের সাথে থেকে আমাদের এই ইউনিটিকে আরো বেশি মজবুত করবেন । বক্তব্য প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশন ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয় । সংগঠনটি বাঙ্গালিদের মানবঅধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু করার উদ্যেগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। আমাদের কাজ এখানকার প্রবাসি বাঙালিরা বিপদে পড়লে তাদেরকে সাহায্যে করা, তাদেরকে সঠিক সেবা দেওয়া । বক্তব্য সংগঠনের সহ-সভাপতি বলেন, আমাদের এই কমিউনিটি প্রতিষ্ঠির কছু কারণ ছিল তা আমরা করেছি” যখন আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটি করতে চেয়েছি তখন আমাদের এই মালটা তে সেই পরিমাণ আমাদের বাংলাদেশ ছিল না, এখন আমরা এমন অবস্থায় আছি যে আজকে আমাদের এখানে একটি কমিটি এবং একটি সংগঠন খুব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে । যা একান্তই প্রয়োজন ছিল। চেয়ারম্যান ডা.এস বি দাস বলেন, রিফুজি পাল্টাতে বাংলাদেশী শরণার্থী নিয়ে কিছু সমস্যা এখানে রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা। রিফুজির জন্য অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ যেতে পারছে না এটা আমার জন্য অত্যান্ত কষ্টকর এটা বিষয় । তাই আমি চাইব এখানে যারা এটি করতে পারেনি , যারা বন্দি হয়ে আছেন তাদেরকে সে বন্দি জায়গা থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য লিগেল ভাবে সরকার অনুমোদিত পেপারটা যাতে করা যায় সে উদ্যেগ গ্রহন করা । তিনি আরো বলেন, এই কমিউনিটির কাজ থাকবে বাংলাদেশী বিপদগ্রস্থ, এক্সিডেন্ট অসুস্থ কিংবা কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাহার দেহটি বাংলাদেশী কমিউনিটি পাশে থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে । একি সাথে এখানে যে সকল বাংলাদেশীরা কাজ পাচেছন না আমাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ পাওয়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব ।