দর্পণ ডেস্ক :
গত বুধবার ভারতের মন্ত্রিপরিষদ মুসলিম সমাজের মধ্যে প্রচলিত ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক রীতিকে’ নিষিদ্ধ করে একটি অর্ডিন্যান্স অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এমন তালাককে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন। শুধু ভারতেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ নয়, তার প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বর্তমানে ২৩টি দেশে এমন তালাক আইনে নিষিদ্ধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, সাইপ্রাস, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান, মিসর, ইরান, ইরাক, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া, সুদান, লেবানন, সৌদি আরব, মরক্কো ও কুয়েত। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে তালাকের ক্ষেত্রে একজন পুরুষকে আইন মানতে হয়। স্ত্রীকে যদি তিনি তালাক দিতে চান তাহলে এমন মনোভাবের কথা লিখিতভাবে জমা দিতে হয় ‘সালিসি কাউন্সিলে’। একই নোটিশের একটি দিতে হয় তার স্ত্রীকে।
জিও নিউজের মতে, ১৯৬১ সালে পাকিস্তানে মুসলিম পরিবার আইন ইস্যু করা হয়। সেই আইনে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বাতিল করা হয়। আফগানিস্তানে একবারে তিন তালাক উচ্চারণ অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শ্রীলঙ্কায় ১৯৫১ সালের বিবাহ ও বিচ্ছেদ (মুসলিম) আইন সংশোধন করা হয় ২০০৬ সালে। এতেও তিন তালাককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ বুধবার তাৎক্ষণিক তিন তালাককে নিষিদ্ধ করে একটি অর্ডিন্যান্স অনুমোদন দিয়েছে। আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও তিন তালাক বা তালাকে বিদাত অব্যাহত ছিল। এটাকে বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি ছিল। তিনি এ রীতিকে অসভ্য ও অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেন ।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.