দর্পণ ডেস্ক : কন্ডিশন বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল। কিন্তু ম্যাচের দিন কক্সবাজারের আবহাওয়া আর বাংলাদেশের অনুকূল থাকলো না। গরম আবহাওয়ায় সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ সুবিধা দিয়ে দিল ফিলিস্তিনকে। নরম আবহাওয়ায় তারা ২-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠে গেল।

এর আগে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম সেমিফাইনালে কক্সবাজারে বৃষ্টি এবং কর্দমাক্ত মাঠে খেলতে অসুবিধা হয়েছিল ফিলিপাইন এবং তাজিকিস্তানের। সে ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে তাজিকিস্তান। পরের দিন বিশ্রামহীন কর্দমাক্ত আবার জায়গায় জায়গায় খটখটে মাঠে খেলা আরও কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশ-ফিলিস্তিনের জন্য। বাংলাদেশ অবশ্য পুরো ম্যাচে শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত চট্রগ্রামের ফুটবল ভক্তদের সামনে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।

কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালটা অসম শক্তির লড়াই ছিল বলতে হবে। র‌্যাংকিংয়ে একশ’-তে থাকা ফিলিস্তিনের সামনে ১৯৩ র‌্যাংকিংয়ে থাকা বাংলাদেশের দাঁড়াতে পারার সম্ভাবনা কমই ছিল। তবে দেশের মাটিতে, চেনা কন্ডিশন ছিল জামাল ভূঁইয়াদের আত্মবিশ্বাসের খোরাক। কক্সবাজারে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি তাই স্মরণীয় করে রাখার প্রত্যাশা ছিল তপুদের।

কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধে তাতে এক ধাক্কা খায় জেমি ডে’র শিষ্যরা। প্রথমে মনে হয়েছিল কাদা-পানির মাঠে বাংলাদেশেরই লাভবান হবে। যদিও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার যুক্তি, নিম্নচাপে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে লাভবান হবে ফিলিস্তিন। কন্ডিশন থেকে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে যদি আবহাওয়া গরম থাকে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর নরম আবহাওয়া মিলিয়ে ফিলিস্তিন হয়তো সেই সুবিধাই পেয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধের এক গোল এবং শেষ বাঁশি বাজার আগে গোল দিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।

ম্যাচে ফিলিস্তিনি জিতলেও গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। ম্যাচের সবচেয়ে সুন্দরতম দৃশ্য হয়তো ওটাই। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দর্শক প্রিয়তা ফিরে পেলে আবার বাংলাদেশের ফুটবল ফিরে আসবে এটাই হয়তো জামাল ভূঁইয়া-তপুরা বোঝাতে চেয়েছেন। নিম্নচাপ মাথায় নিয়ে কক্সবাজার স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা গ্যালারি ভর্তি দর্শকদেরও প্রাপ্য ওই ধন্যবাদ।