দর্পণ ডেস্ক : পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মধ্যেই আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহর প্রদেশে এক বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সহিংসতায় ১৭০ জনের মতো হতাহত হন; রোববার পর্যন্ত গড়ায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম, একই সঙ্গে বাড়তে থাকে সহিসংতার ঘটনাও।
এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, নানগরহর প্রদেশের অচিন শহরে রাস্তার পাশে সাধারণ মানুষকে বহনকারী একটি যানবাহনে হামলা হয়। এ সময় বিস্ফোরণে ছয় শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোন পক্ষই।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন পতনের পর দেশটিতে এবার নিয়ে তৃতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। আগামী বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এএফপি বলছে, শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ভোট কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে দিনভর ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। এতে শনিবারই হতাহত হন দুই শাতধিক মানুষ। সহিসংতা ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোট গ্রহণ পেছানে হয় রোববার পর্যন্ত।
দেশজুড়ে দুই শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটে শনিবার; এদিন অন্তত ৩৬ জনের প্রাণহানি হয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়।
শনিবারের সহিংসতা ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোটগ্রহণ রোববার পর্যন্ত পেছানোর ঘোষণা দেয়া হয় দেশটির নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কমিশন জানায়, রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪০১টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে।
আফগানিস্তানে ভোট হওয়া ৩৩টি প্রদেশে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার।
শনিবার রাজধানী কাবুলের একটি ভোট কেন্দ্রের ভেতরে হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার দায় স্বীকার করেননি কেউই। তবে তালেবান বেশ কিছুদিন ধরেই এ নির্বাচনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে আসছিল।
ভোট শুরুর পর সহিসংতা হয়েছে কুন্দুজ প্রদেশেও। সেখানকার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, হামলার ঘনটায় অন্তত তিনজন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছেন।
কুন্দুজ থেকে কিছুটা দূরবর্তী একটি শহরে হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। ওই হামলার পর নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য নিহত ও অন্তত সাতজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। ব্যালট পেপার, বাক্স এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকায় প্রাদেশিক নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসুল।
এএফপি জানায়, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শনিবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর অধিকাংশ স্থানেই সহিংসতার ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
আমিনুর