দর্পণ ডেস্ক : শ্রীলংকায় পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার জন্য সোমবার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার ওপর চাপ বেড়েছে। তিনি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত ও আকস্মিকভাবে পার্লামেন্টে অধিবেশন স্থগিত করার পর দেশটিতে তীব্র সংকট শুরু হয়েছে। এদিকে রাজনৈতিক এই সংকট সহিংসতায় রূপ নিয়েছে এবং এতে একজন প্রাণ হারিয়েছে। এএফপি, বিবিসি, ডেইলি মিরর।
বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। তার সমর্থকরা বাসভবনে তাকে চারপাশ থেকে বেরিক্যাড দিয়ে রেখেছে এবং বাইরে বৌদ্ধ সন্যাসীসহ ১ হাজারের বেশি সমর্থক সমাবেশ করছে। এরা তার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে বেআইনীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি পার্লামেন্টের একটি জরুরি অধিবেশন চান। যাতে করে তিনি পার্লামেন্টে তার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেন। পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া রোববার বিক্রমেসিংহের বরখাস্তকে অবৈধ বলার পর তিনি তার অবস্থান ধরে রাখতে জোর পান।
এদিকে রাজধানী কলম্বোতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকল পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সিরিসেনা বিতর্কিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ্র রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তার এই পদক্ষেপ শ্রীলংকাকে রাজনৈতিক জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিক্রমাসিংহে ও তার দল সিরিসেনা কর্তৃক তাকে বরখাস্তের বিষয়টি বেআইনী ঘোষণা করতে আদালতের প্রতি আবেদন জানাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ ও আঞ্চলিক শক্তি ভারত পার্লামেন্ট অধিবেশনের ডাক দেয়ার জন্য সিরিসেনার ওপর চাপ দিচ্ছে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার শ্রীলংকায় চলমান সাংবিধানিক সংকট নিরসনে আইনপ্রণেতাদের সুযোগ দেয়ার জন্য ‘অবিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার’ আহ্বান জানিয়েছে।