আদালতের রায়ের কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট থেকে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নির্বাচন করতে পারছেন না। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও রয়েছেন তার মধ্যে।
আদালতে শাস্তি হওয়ার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারা নিয়ে যখন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এমন সময়ে হাইকোর্টের একটি রায় ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিএনপি প্রার্থী সাবিরা সুলতানার সাজা স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর আগামীকালই ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারপক্ষ।
এ বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত বন্ধ থাকার পরেও শনিবার চেম্বার জজ আদালতে এই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে দিন নির্ধারিত থাকার কারণে তারা আর দেরি করতে চান না।
মাহবুবে আলম বলেন, যদি এই আদেশের সুযোগ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন তাহলে সেটা সংবিধানের পরিপন্থী হবে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়া বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত হলেও দলটির নেতাকর্মীরা আশা করছেন তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সেই প্রত্যাশা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তাকে ৫টি আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মূলত সাবিরা সুলতানার বিষয়ে হাইকোর্টের ওই রায়ের পরই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা করছেন, নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এই রায়টি নতুন উপায় দেখাতে পারে।
তবে ওই রায় ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে নৈতিক স্খলনের কারণে কেউ যদি দুই বছর কিংবা তারও বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনকি মুক্তিলাভের পরেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এক মামলায় সাবিরা সুলতানাকে ৬ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই মামলা করা হয়েছিল।