লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি :
এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে নাটোরের ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এতিম ছাত্র হৃদয় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ভালো মানুষ হতে চায়। তার দিন মুজুর বাবা জহির আলী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে, মা রেখা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে ছেলেকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। দুমুঠো খাবার জোগার করতে পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে অন্যের বাড়িতে নিজে দিন মুজুরের কাজ করেছে হৃদয়। নাটোর সদরের ছাতনী ইউনিয়নের হারিগাছা গ্রামের অসহায় মা রেখা বেগম এখন দুই ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে রয়েছেন চরম হতাশায়। এই মা জিপিএ-৫ না বুঝলেও তার বড় ছেলে ভালো কিছু একটা করছে এটা গ্রামের সকালের উৎসাহ দেখে ঠিকই বুঝতে পারছেন। কিন্তু যাদের বসবাসের জন্য ভালো কোন ঘর নেই, ঘরে বিদ্যুতের আলো নেই, খাবার নেই, সন্তানের প্রয়োজন মতো বই, পোষাক নেই সেখানে কি করে উচ্চ শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করবেন সেই চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। তিনি বলেন, এতদিন হৃদয়ের বই খাতা কলম স্কুলের শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা দিয়েছে, এখন কি হবে ? তার স্কুলের শিক্ষক ইন্তাজ আলী বলেছেন, অদম্য মেধাবী হৃদয় নিজের প্রচন্ড ইচ্ছার কারনেই জেএসসির পর এসএসসিতেও এমন ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। তাদের সংসারের এমন করুন অবস্থা যে ননু আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ও কিভাবে তাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে সুযোগ পেলে হৃদয় একদিন সফল হবেই। তাই হৃদয় ও তার মা রেখা বেগমের প্রার্থনা সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান মানুষেরা যদি তাদের পাশে দাঁড়ান তবে একদিন অবশ্যই হৃদয়ের উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে একজন ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন পুরুন হবেই।