দর্পণ ডেস্ক : ভারতের ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনির ঘটনা অব্যাহত। গুমলা জেলার নগর সিসকারি গ্রামে ডাইনি অপবাদে চার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। শনিবার (২০ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহতদের নাম সুনা ওরাওঁ (৬৫), পাগনি দেবী (৬০), চাপা ভগত (৬৫) ও পিরি দেবী (৬২)। পিরি দেবী চাপা ভগতের স্ত্রী। তারা সবাই পাশাপাশি থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারী ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ঘর থেকে টেনে বের করে গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে তাদের মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়। চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সুনা ওরাওঁয়ের মেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাদের ঘরে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে কয়েকজন। তার বাবাকে টেনে বের করে তারা। তারপর তাদের বাইরে থেকে বন্ধ করে চলে যায়। যারা এসেছিল তারা তাদের পরিচিত নয় বলেই সুনার মেয়ের দাবি।
এ ঘটনার পরে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কেউই এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাইছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে ডাইনি অপবাদে খুনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। এই বিষয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে সরকার নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে। বেসরকারি সংগঠনগুলিও এ নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু বারবার একই ঘটনা ঘটায় এই সচেতনতা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।