দর্পণ ডেস্ক : প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আজ সন্ধ্যায় বাগেরহাটে আঘাত করার সময় কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার বা তার বেশি থাকতে পারে।
সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করা শুরু করলে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা উপকূল অতিক্রম করে যাবে। এরপর এটি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বরিশাল, ঢাকা, কুমিল্লা অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুন্দরবন অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড়ের বেগ অনেক থাকবে। বিকেল ৪টা বা ৫টা থেকে ধরলে আগামী ২৪ ঘণ্টা পুরো বাংলাদেশে এর প্রভাব থাকবে। রংপুর বিভাগে প্রভাব একটু কম থাকলেও সারাদেশেই এর প্রভাব থাকতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস।
ঘূর্ণিঝড় ফণী ঊড়িষ্যা অঞ্চলে যেরকম ক্ষয়ক্ষতি করেছিল বা প্রভাব ফেলেছিল, আমাদের উপকূলে বুলবুলের কারণে সেরকম প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না?
এ প্রশ্নের জবাবে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘এটা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে প্রবেশ করবে। এ ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সুন্দরবন একটা বাধা বলতে পারেন। এটা হয়তো অনেকটাই রক্ষা করবে। যেহেতু এটা প্রবল ঘূর্ণিঝড়, তারপরও ওইরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় এখনও অতি প্রবল অবস্থায় রয়েছে। উপকূলের কাছাকাছি এসে হয়তো সামান্য তীব্রতা কমতে পারে। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপকূলের কাছাকাছি আসার পর ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রসর হওয়ার গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ জানান, জোয়ার শুরু হবে বিকেল ৩টা দিকে। রাত ৯টা ৬ মিনিটে জোয়ারের বা জলোচ্ছ্বাসের সর্বোচ্চ উচ্চতা ২ দশমিক ৮৫ মিটার হতে পারে পশুর নদীতে। পশুর নদী ছাড়াও খুলনা ও বরিশালে যেসব নদীতে জোয়ার থাকবে সেখানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাসার্ধ কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার আর ব্যাস ২০০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস।