দর্পণ ডেস্ক : সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, চালক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার যা হওয়ার হবে কিন্তু তার যেন জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয়।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহনের নতুন আইনে চালক অপরাধ করলে যেন জামিন পায়, সরকারের কাছে এটা আমাদের দাবি। এই দাবি মানা না মানা সরকারের ব্যাপার। সড়ক দুর্ঘটনায় জামিন না পেয়ে দীর্ঘদিন গাড়ি চালাতে না পারলে চালকের ঘাটতি দেখা দেবে।

সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, “আমরা বলেছি কোনো ড্রাইভার যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে আর বিচার প্রক্রিয়ায় যদি সে অপরাধী বিবেচিত হয়ও তার যেন জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয়। তাহলে অন্তত ড্রাইভারের ঘাটতি থাকবে না।”

ড্রাইভার যদি একটা অ্যাক্সিডেন্ট করে দীর্ঘদিন গাড়ি চালাতে না পারে, এভাবে যদি সারাদেশে এক বছরে তিন থেকে চার হাজার অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে তিন থেকে চার হাজার ড্রাইভারের ঘাটতি পড়ে যাবে। এখনো আমরা দেশে ড্রাইভারদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন ড্রাইভার তৈরি করতে পারছি না, সেই ক্যাপাসিটি আমাদের নেই,’ যোগ করেন তিনি।

দুর্ঘটনার পর চালক জামিন পেলে দুর্ঘটনা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যেটা বলেছেন এটা কিন্তু ঠিক নয়। যদি একজন ড্রাইভার আদালত থেকে জামিন না পায় সে ক্ষেত্রে সে আর ড্রাইভিং করতে পারবে না। তাতে আরও বেশি অচলাবস্থা তৈরি হবে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, কোনো ধর্মঘট নেই। এই আইন কার্যকরের পর লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকায় অনেকে ভীত হয়ে বের হয়নি।

“গণমাধ্যম বলছে এখনো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। প্রথম বাস্তবতা হলো লাইসেন্সের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বললেন সেটা হলো বিআরটিএ এর ঘাটতি আছে, তারা লাইসেন্স দিতে পারছে না। এখন যে ভুয়া লাইসেন্স ড্রাইভারদের কাছে আছে সেই লাইসেন্স নিয়ে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তাদের জরিমানা হবে। এ কারণে একজন ড্রাইভার তো স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাতে পারছে না,” বলেন তিনি।

শাজাহান খান আরও বলেন, অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে সেই গাড়িগুলো চালাতে পারছে না। এ কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম, এটা বাস্তবতা। আমি মনে করি সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র না থাকার কারণে কিন্তু রাস্তায় গাড়ির ঘাটতি থাকছে, যোগ করেন তিনি।