অনলাইন ডেস্ক : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এখন প্রতিটি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা জড়ো হয়েছিলেন। সারাদিন উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয়েছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, সিটির ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রের-ভেতরে বাইরে গোলযোগ, অনিয়ম, এজেন্টদের বাধা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

৪৫ দশমিক ৬৫ বর্গকিলোমিটারের খুলনা সিটিতে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ৩১টি ওয়ার্ডে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৩৯ জন। আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ১০টি পদে লড়ছেন আরও ৩৯ জন। কেসিসির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এদিকে গতকাল হাইকোর্ট সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে খুলনায় গণগ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)