চাঁদ

গ্রহাণুটি ৩ বছর আগে পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান নেয় বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন

পৃথিবীর চারিদিকে ঘুর্ণায়মান দ্বিতীয় “চাঁদের” সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় নাসা অর্থায়িত মহাকাশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে’র গবেষক ক্যাসপ্যার ওয়ের্জকস ও টেডি প্রুনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এটি প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইটে এই তথ্য জানান ক্যাসপ্যার ওয়ের্জকস। টুইটারে তিনি লেখেন, “দারুণ খবর!! পৃথিবীর কক্ষপথে একটি গ্রহানুর (সম্ভাব্য ক্ষুদ্র চাঁদ) সন্ধান পাওয়া গেছে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ২০২০-সিডি৩।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এটি একটি দারুণ খবর কেননা ২০২০-সিডি৩ চাঁদ ব্যতীত পৃথিবীর কক্ষপথে আসা দ্বিতীয় গ্রহাণু।”

এর আগে ২০০৬ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে “২০০৬- আরএইচ ১২০” নামের একটি গ্রহাণু দেখা গিয়েছিল। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত সেটি পৃথিবীর কক্ষপথে ছিল। 

গ্রহানুটির আবর্তনের পথ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন গ্রহাণুটি ৩ বছর আগে পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান নেয়।

ছোট গ্রহ ও গ্রহানু নিয়ে কাজ করা স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রফিজিকাল অবজারভেটরি’স মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার জানায়, এটি পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপিত কোনও কৃত্রিম বস্তু নয়। এরকম কোনো ধরনের আলামত পাওয়া যায়নি।

প্রযুক্তি উদ্ভাবক এলন মাস্কও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি টুইটারে জানান, এটি ২০১৮ সালে তার প্রতিষ্ঠান থেকে মহাশূণ্যে উৎক্ষেপিত “টেসলা রোডস্টার” নয়।

এদিকে গ্রহাণুটির আবর্তনের পথ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে গ্রহানুটি পৃথিবীর কক্ষপথে আবর্তিত হওয়া শুরু করেছে। এটি সাময়িকভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করবে। কারণ নিজ আবর্তনের কক্ষপথে গ্রহানুটি স্থিতিশীল নয়। তাই গ্রহানুটির চাঁদের মতো চিরস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে জানায়, গ্রহাণুটির ব্যাসার্ধ ৬-১১ মিটারের মধ্যে। এটির আকৃতি বড়জোর একটি গাড়ির সমান।

নর্দান আয়ারল্যান্ডের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের রিসার্চ ফেলো গ্রিগরি ফেডোরেটস নিউ সায়েন্স ম্যাগাজিনকে বলেন, “এটি চাঁদের মতো স্থায়ীভাবে পৃথিবীর আবর্তনের সাথে যুক্ত হবে। এটি ক্রমাগত সেই সম্ভাবনা থেকে সরে যাচ্ছে। এপ্রিল নাগাদ এটি পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে চলে যেতে পারে।”