নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারি উদ্ভাবনের ধারায় এসব যন্ত্রাংশের জন্য ব্যবহার করা রাসায়নিক উপাদানের মাঝে পরিবর্তন আনাকেই যুক্তিসঙ্গত ও উপযুক্ত বলে মনে করছেন গবেষকরা
প্রযুক্তির ব্যবহার মানেই আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে যুক্ত হচ্ছে অগণিত যন্ত্রের ব্যবহার। আর এসব যন্ত্রকে ব্যাবহারযোগ্য করতে কম-বেশি সবসময়েই ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি। একটি নির্দিষ্ট সময় পর এসব ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয় নতুবা যন্ত্রটিই বদলে ফেলতে হয়।
তবে প্রযুক্তির নতুন প্রজন্মে এবার চেষ্টা চলছে এসব ব্যাটারির মাঝে এমন পরিবর্তন আনতে পারা, যাতে একটি ব্যাটারিকেই বারবার ব্যাবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারি নিজেকেই বারবার ব্যাবহারযোগ্য করে তুলবে। অবিশ্বাস্য হলেও এমন চেষ্টাই করছেন গবেষকরা।
স্বয়ংক্রিয় এমন ব্যাটারির উদ্ভাবন আশা করা হলেও কিভাবে তা কাজ করবে বা কিভাবে ব্যবহারকারীদের সুবিধা দিবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, দুইভাবে ব্যাটারির মাঝে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
প্রথম পদ্ধতিতে, ব্যাটারি নিজেকে বারবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাবহারযোগ্য করে তুলবে। যদিও এই পদ্ধতি অসীম সময় পর্যন্ত ব্যাবহারের ধারণা দিলেও বাস্তবতায় তা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় পদ্ধতি, অনেকটা গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত। যেখানে ব্যাটারির মাঝে ব্যাবহার করা কেমিক্যালে পরিবর্তন আনা হবে। এরফলে শুধু দীর্ঘস্থায়িত্ব নয় বরং নিরাপত্তা এবং ব্যবহার সুবিধাও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
রাসায়নিকভাবে ব্যাটারির মাঝে ব্যবহৃত সিস্টেম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর মাঝে দুইদিকে থাকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক ইলেক্ট্রোড। দুই ইলেক্ট্রোডের মাঝে সংযোগে ব্যবহার করা হয় তরল ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ। এই তরলের মাধ্যমে দুইপাশের মাঝে ইলেকট্রনের চলাচল সম্ভব হয়।
নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারি উদ্ভাবনের ধারায় এসব যন্ত্রাংশের জন্য ব্যবহার করা রাসায়নিক উপাদানের মাঝে পরিবর্তন আনাকেই যুক্তিসঙ্গত ও উপযুক্ত বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এখনও গবেষণা প্রাথমিক পর্যায় থাকায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা দিতে না পারলেও গবেষকরা আশাবাদী যে খুব তাড়াতাড়ি নির্ভরযোগ্য ব্যাটারি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবেন তারা।