শরীরের রক্ত পরিশোধন করতে কিডনির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। এ কারণে কিডনি সুস্থ রাখা জরুরি।
কিডনির নানা সমস্যার অন্যতম হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। এ সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে তার ওপর। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে। তখন সেটা টেরও পাওয়া যায় না।
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন-
১. কম পরিমাণে পানি খাওয়া।
২. বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসা না নেওয়া।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
৪. শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
কিডনিতে পাথর হলে কিছু উপসর্গের মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। যেমন-
১. রক্তবর্ণের প্রসাব।
২. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৩. কোমরের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া। এ ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সাধারণত কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেই এ রোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিতে পাথর জমা ঝুঁকি এড়াতে কিছু বিষয় অনুসরণ করা জরুরি। যেমন-
১. প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
২. কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখা যাবে না।
৩. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
৪. দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
৫. বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সূত্র : জি নিউজ