করোনাভাইরাস

গতমাসে হংকংয়ের একটি দোকানে একদল ডাকাত অস্ত্র দেখিয়ে বলে, ‘যা আছে সব দিয়ে দাও, না হলে গুলি চালিয়ে দেব…।’ মুহূর্তেই ডাকাতি হয়ে যায় দোকানের সব টয়লেট পেপার রোল!

করোনা-সঙ্কটে টয়লেট পেপার নিয়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছে সিঙ্গাপুর, জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বহু দেশেই। হাহাকার এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লোকের বাড়ির শৌচাগার থেকেও চুরি যাচ্ছে টয়লেট পেপার। সোনাদানা নয়, চোরের পছন্দ ওই “মহামূল্যবান” কাগজটি।

বুধবার (৪ মার্চ) সিডনির এক সুপারমার্কেটে টয়লেট পেপার কেনা নিয়ে এক রকম হাতাহাতি বেধে গিয়েছিল। ছুরি নিয়ে হামলা করে এক যুবক। শেষে ঝামেলা থামাতে পুলিশ ডাকতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজনের #টয়লেটপেপারগেট, #টয়লেটপেপারক্রাইসিস দিয়ে একের পর এক পোস্ট, কমেন্টের বন্যা। ছবি-ভিডিওতে হাসি-মশকরাও চলছে— যেমন, প্রেমিকাকে টয়লেট পেপার উপহার দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব!

গতমাসের মাঝামাঝি হংকংয়ের একটি দোকানে আচমকাই হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত। অস্ত্র দেখিয়ে বলে, ‘‘যা আছে সব দিয়ে দাও, না হলে গুলি চালিয়ে দেব…।’’ বাধা দেওয়ার সাহস দেখাননি কেউ। মুহূর্তেই দোকানের সব টয়লেট পেপার রোল ডাকাতি হয়ে যায়। 

সম্প্রতি সিডনির একটি রেডিও চ্যানেলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে রাখা ছিলো তিনটি টয়লেট পেপার রোল!

গতবছর ডিসেম্বরের শেষে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে চীনের উহানে। তারপর থেকে এক-এক করে ভাইরাস ছড়াতে থাকে বহু শহরে। সংক্রমণ রুখতে শহরগুলোকে “তালাবন্ধ” করে দেয় চীন। বাড়িতে ‘বন্দি’ করা হয় বাসিন্দাদের। গত দু’মাস ধরে এ ভাবেই কাটাচ্ছেন চিনের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ। পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভাল। 

তবে সম্প্রতি দৈনন্দিন সামগ্রীর অভাব দেখা গিয়েছে বন্দি শহরগুলোয়। বিশেষ করে টয়লেট পেপারের আকাল। তাই “হাত ও জলের কাজে” অনভ্যস্ত সাহেব-মেমেরা হন্যে হয়ে কিনছেন টয়লেট পেপার। শপিংমলে ক্রেতাদের ট্রলি উপচে পড়ছে টয়লেট পেপারে।