মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে ‘প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩’ অনুযায়ী ৬০ বা এর বেশি বয়সীরা প্রবীণ হিসেবে বিবেচিত হন।
আইনের প্রস্তাবনায় সরকারের প্রবীণ নাগরিকদের সমাজ ও সভ্যতার অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্র্যমুক্ত, কর্মময়, সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিতে এ আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের খসড়ায় ‘প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় এবং যে কোনো স্থানে শাখা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে খসড়ায়।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ এ আইনটি মুজিববর্ষের মধ্যেই পাস ও কার্যকরের প্রয়োজনের ওপর জোর দেয়া হয়।
এর আগে আরেকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন-২০১৯’ এর আলোকে ‘জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ বিধিমালা-২০২০’ এর খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়।
উভয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইসমাঈল, অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।