কোভিড-১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বহুলভাবে শোনা যাচ্ছে- ‘কোয়ারেন্টাইন’ ও ‘আইসোলেশন’ শব্দ দু’টি
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসসৃষ্ট (এনকভ-১৯) কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগটি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩ ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বহুলভাবে শোনা যাচ্ছে- “কোয়ারেন্টাইন” ও “আইসোলেশন” শব্দ দু’টি।
অন্য সব সংক্রামক রোগের মতো কোভিড-১৯ রোগের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিতে থাকা ও আক্রান্তদের রাখা হয় কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেশন সেন্টারে। দু’টিই চিকিৎসাকেন্দ্র কিংবা হাসপাতালের বিশেষায়িত কক্ষ। তবে এ দু’টির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন:
আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিকে জনসমাগম থেকে আলাদা করে চিকিৎসকের নজরদারিতে রাখার নাম হলো কোয়ারেন্টাইন।
কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল নির্ভর করে সংক্রামক রোগ জীবাণুর ছড়িয়ে পড়ার সময়কালের ওপর। উদাহরণস্বরূপ, ইবোলা রোগের সময় কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল ছিল ২১ দিন।
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাস: মানিকগঞ্জে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ ৫৯ ব্যক্তি
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানিকগঞ্জের ৫৯ প্রবাসীকে “হোম কোয়ারেন্টাইন” বা বাড়িতে পৃথক করে রেখে তাদের এবং পরিবারের লোকজনের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি কর্তৃপক্ষ।
আইসোলেশন:
অন্যদিকে, আইসোলেশন হলো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করে রাখার প্রক্রিয়া। সংক্রমণ রোধে অসুস্থ রোগীদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সন্দেহে মোট ১২ ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের সবাই বিদেশফেরত।
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে আরও ৮ জন
এই রোগ সম্পর্কিত তথ্য জানতে ও জানাতে নিয়মিত চারটি হটলাইন নম্বরের পাশাপাশি আরও আটটি নম্বর যোগ করেছে আইইডিসিআর। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬২৬৩ নম্বরেও কল করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে- ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪ ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩ ও ০১৪০১১৮৪৫৬৮।