গতবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় ৪০ সদস্যের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সংঘটিত জঙ্গি হামলায় জুড়ে গেলো শপিং সাইট অ্যামাজনের নাম। গ্রেপ্তারকৃতদের একজন অ্যামাজন থেকেই বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও রাসায়নিক কিনেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এক প্রতিবেদনে চমকপ্রদ এখবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
গতবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় ৪০জনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার (৬ মার্চ) শ্রীনগর থেকে ওয়েজুল ইসলাম (১৯) ও পুলওয়ামা থেকে মহম্মদ আব্বাস রাদার (৩২) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে এই দু’জনের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। দু’জনেরই পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ওয়েজুলের সঙ্গে পুলওয়ামা হামলার কিছু দিন আগে যোগাযোগ হলেও মহম্মদ আব্বাস জইশের পুরনো সদস্য।
মধ্যে ওয়েজুল ইসলাম অ্যামাজন থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম কিনেছিল বলে জানিয়েছে এনআইএ-র গোয়েন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়েজুল স্বীকার করেছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), ব্যাটারি, অন্যান্য সরঞ্জাম ও রাসায়নিক কিনেছিল অ্যামাজন থেকে। জইশ জঙ্গিদের নির্দেশমতো এইসব সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করেছিল নিজের আইডি-পাসওয়ার্ড।’’
পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনার অংশীদার হিসেবে ওয়েজুল নিজেই সেইসব সরঞ্জাম জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছে সে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ফরেনসিক তদন্তে প্রমাণ হয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হয়ছিল অ্যমোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রো গ্লিসারিন ও আরডিএক্স।
ওই অফিসার বলেন, ‘‘আব্বাস দীর্ঘদিন ধরেই জইশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮-র এপ্রিল-মে নাগাদ বিস্ফোরক বিশারদ জইশ জঙ্গি কাশ্মীরে এসেছিল। আব্বাসই তাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল। এছাড়া পুলওয়ামা হামলার আগে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিল আত্মঘাতী হামলাকারী জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ দার, সমির আহমেদ দার ও কামরানকে। এদের মধ্যে কামরান পাকিস্তানের নাগরিক।’’