নিহত আবদুল আউয়াল (ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ)

নিহত আবদুল আউয়াল ওই গ্রামের ধুনু মিয়ার ছেলে এবং ওই ছাত্রীর জেঠাতো ভাই। এ ঘটনায় প্রায় ৮/৯ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন, মো. আবদুস সাত্তার, আবুল হাশেম এবং আবুল কাশেম। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত রঘুরামপুর গ্রামের আকিজ ও তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করেছে।

স্কুলছাত্রীর পিতা আহত আবদুস সাত্তার ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, মেয়ে এবার জাফরগঞ্জের গঙ্গামণ্ডল রাজ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার আগে থেকে বখাটে আসলাম তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় উত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে কয়েক বার বিচার-সালিশ হলেও আসলামকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে আমার মেয়ে তার নানার কালিকাপুরে বেড়াতে যায়।

ওইদিন দুপুরের দিকে সে নানার বাড়ি থেকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে তার খালার বাসায় চলে যায়। এদিকে আসলাম এ খবরে নানার বাড়ি কালিকাপুরে আমার মেয়েকে দেখতে না পেয়ে কোথায় লুকিয়ে রেখেছি জানতে চান। তাকে বের না করে দিলে সবাইকে হত্যা করা হবে বলেও চিৎকার করতে থাকেন। পরে এ ঘটনায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে রঘুরামপুর আড়াইবাড়ির দোকানের সামনে বিচার-সালিশের ডাক দেন স্কুলছাত্রীর স্বজনরা। বিচার-সালিশের একপর্যায়ে আসলামসহ আরো ১০/১২ জন ছুরি, রামদা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকেন স্কুলছাত্রীর স্বজনদের। পরে আসলামের হাতে থাকা ছুরির আঘাতে আবদুল আউয়াল নামে স্কুলছাত্রীর জেঠাতো ভাই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।  

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসলামের পিতা মো. সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাই আকিজকে আটক করা হয়েছে।