‘দুদিন প্রবাসে আসি বৃথাই বাধিনু ঘর, প্রবাসের সাথী যারা তারা সকলেই পর’ – কালজয়ী এই সত্য কথাটি উপলব্ধি করে ক্যালগেরির একদল প্রবাসী বাঙালির সমন্বয়ে আবির্ভূত হলো  ‘বন্ধু’ নামক একটি ব্যতিক্রমী আড্ডাস্থল। না- কফি হাউজের সেই আড্ডা নয়, নয় -মল চত্বর আর টিএসসির আডডা। ভিন্নধর্মী ব্যতিক্রমী বন্ধুর আড্ডায় মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে উঠে আসে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত সবকিছু। শিক্ষণীয় আর সময়োপযোগী আড্ডায় উঠে আসে সৈয়দ শামসুল হকের খেলারাম খেলে যা ,রবীন্দ্রনাথের শেষ চিঠি, রক্তকরবী, কাজী নজরুলের নার্গিস, জীবনানন্দের বনলতা সেন- আরো কত কি!

পৃথিবীতে প্রেমে পড়ার মতো এমন সুখ আর কি হতে পারে? ভালবাসতে হলে যেমন কষ্ট পেতে হয়, তেমনি কষ্টের মধ্যে থাকে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা-এক অন্যরকম অনুভূতি। সবাই কি ভালোবাসা পায়?  আবার কেউ কেউ না পেয়েও সুখী হতে চায়। মানুষ ভালোবাসে তার ভালোবাসা থেকে। কিন্তু কতক্ষণ, কতদিন? ফুলের সৌরভ আর জীবনের গৌরব কি সবসময় থেকে যায়? মানুষ সমুদ্রকে ভালবাসতে ভয় পেলেও নদীর অপরূপ সৌন্দর্যে সে সব ভুলে যায়? বন্ধুত্বের ভালোবাসায় কি সব ভোলা যায়? বিশ্লেষণ ভিত্তিক প্রগতিশীলতা সবকিছু এই বন্ধুর আড্ডায়।

বিশিষ্ট কলামিস্ট আব্দুল্লাহ রফিক বললেন,সংসার আর কর্মময় বস্ততা জীবনে আমরা সবাই ভুলে যাই যে আমরাও মানুষ, আমাদেরও মন আছে।হৃদয় গভীরে শুধু দেখি, শোনা যায়, কিন্তু কিছুই থাকে না বলার। এই বন্ধুর আড্ডায় চাকরি থেকে শুরু করে সবকিছুই করা হয় মানব কল্যাণে। নিজের মনের খোরাক মেটানোও বা  কম কিসের।  নিখিলেশ এখানে না থাকলেও রয়েছে কিরণ বণিক শংকর, সুব্রত বৈরাগী, শুকুরুজ্জামান তুহিন,  শাহিন, কিশোর, দিপুসহ আরো অনেকে। প্রবাসের বন্ধুত্বের এই বন্ধুত্ব এক অন্যরকম পাওয়া।

বন্ধু হল হৃদয়ের আয়না। উল্লেখ্য ক্যালগেরির বন্ধু সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এখন ক্যালগেরিবাসীর মুখে মুখে।শুধু প্রবাস নয়, দেশেও এই বন্ধুত্বের হাত ছড়িয়ে পড়ুক এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার সুশীলসমাজের।