এছাড়া মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশ জুড় জরুরী কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে ইতালি। এর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং জনসমাগমে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬৬ থেকে ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের পর এটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ।
প্রধানমন্ত্রী গ্যুসেপ কন্টে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি জরুরি ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অনুমোদন নেয়ার কথা বলেন তিনি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কন্টে বলেন, “আমাদের এখানে সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে…আর সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
দেশটির সরকারি হিসাব বলছে, রবিবার থেকে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যাও ২৪% বেড়েছে। ইতালির ২০টি এলাকার সবকটিতে ভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৪,৪২২ জনে। তবে এ পর্যন্ত ৬৪,০৮১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ বাড়ি ফিরে গেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ডোমিটার।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে এই রোগে আরো ৪৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশটিতে ৭১৬১ জন আক্রান্ত এবং ২৩৭ জন মারা গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে এখন যারাই পৌঁছাবে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
তবে মঙ্গলবার চীনে নতুন করে ৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। গত ২০শে জানুয়ারির পর থেকে এদিনই সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কানাডা- ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভাঙ্কুভারে এক প্রবীণ নিবাসে একজন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
ফ্রান্সে সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্র্যাংক রিস্টার সরকারের প্রথম সদস্য যিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার দলের সদস্যরা বলেছে যে, গত সপ্তাহের বেশ কয়েক দিন তিনি পার্লামেন্টে কাটিয়েছেন। যেখানে আরো অনেকে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে।