এ ঘটনায় রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষিকাসহ অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে শিক্ষাসফরের বাসের ধাক্কায় রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষিকার হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া ওই বাসে থাকা অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার পাথালিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ওই শিক্ষিকার নাম সৈয়দা ফাহিমা বেগম (৫০)।
খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
দুর্ঘটনায় আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ফাহাদ আরফিন অন্তর জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষা সফর ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ছয়টি মিনিবাস ও মাইক্রোতে করে ১২৫ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার কাকারাইল থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।
অন্তর আরও জানায়, তাদের বাসে শিক্ষিকা ফাহিমাসহ ৩১ জন শিক্ষার্থী ছিলো। বাসটি পাথালিয়া পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ফাহিমা বেগমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা সফরের বাস সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনের দিকে ধাক্কা দিলে শিক্ষিকাসহ ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, ওই শিক্ষিকাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাসে থাকা আহত শিক্ষার্থীদের নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আহত শিক্ষিকা ফাহিমা বেগমকে বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি সংযোজন করার চেষ্টা চলছে। হাসপাতালের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে অর্থোপেডিক ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সার্জনসহ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসকের সমন্বয়ে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।