দর্পণ ডেস্ক : অবশেষে মিয়ানমারেও আঘাত হেনেছে ভয়াবহ করোনাভাইরাস। সে দেশে সোমবার দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ওই দুজনই সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন।
মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার রাতে জানায়, আক্রান্ত দুজনের একজন ৩৬ বছর বয়সী এবং অপরজনের বয়স ২৬ বছর। তারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পরই করোনায় আক্রান্ত হন। এখন তারা দেশে ফেরার পর কার কার সঙ্গে মিশেছেন, তাদের চিহ্নিত করার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এমনকি দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে উভয় দেশে তাদের নাগরিকদের অবাধ যাতায়াত ও যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু উহানে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশের সব প্রবেশপথে কড়াকড়ি আরোপ করে মিয়ানমার সরকার। তারই ফলে করোনাকে প্রায় তিনমাস ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয় মিয়ানমার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনার বিস্তাররোধে গত সপ্তাহে মিয়ানমার সব স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করে বৌদ্ধ ধর্মীয় নববর্ষসহ সার্বিক আচার-অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক গণজমায়েতের ওপরও। দুইজন শনাক্ত হওয়ায় এখন গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ওই দুই করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর সোমবার রাত পর্ন্ত ২১৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমার সরকারের প্রতি এই সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলারও দাবি তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ফেব্রুয়ারি নাগাদ এটি বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে এই সংখ্যা। সূত্র : সিএনএ