দর্পণ ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে স্থবির দেশের অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম— অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা।

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে এ খাতে ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। ফলে নতুন অর্থবছরে শিক্ষাখাতে পাঁচ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সাধারণত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে শিক্ষা খাতকে বিবেচনা করা হয়। এবারের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অনুকূলে পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের বরাদ্দ ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটিকালীন সময়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়। শিক্ষা খাতে আমাদের আগামী অর্থবছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে এ দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ কাজের জন্য আগামী বছরের বাজেটে আমরা প্রয়োজনীয় সম্পদের জোগান রাখছি।