দর্পণ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কর্মীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ইসরায়েলসহ মিত্র দেশগুলোর সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তে জড়িত থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন যুদ্ধপরাধ তদন্তে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এসব কর্মী ও তাদের সাহায্য করা ব্যক্তি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া দেশটির কোনো নাগরিকের বিচারে সহযোগিতাকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে।

এছাড়া এসব কর্মী ও তাদের নিকটাত্মীয়রা যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই আইসিসির এমন অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। হোয়াইট হাউস বলছে, ‘এই পদক্ষেপ মার্কিন জনগণের অধিকারের ওপর হামলা এবং আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের হুমকি।’

তবে আইসিসি কর্মীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞার প্রংশসা করেছে তাদের মিত্র দেশ ইসরায়েল। এদিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আইসিসিকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের হুমকি মেনে নিতে পারি না। আমাদের মিত্রসহ যারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে, তাদের প্রতি বার্তা দিতে চাই যে, আপনাদের লোকেরাও আইসিসির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের ‘সর্বশেষ নজির’ বলেও অভিহিত করেছে।