দর্পণ ডেস্ক : আজ ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন ছিনতাই করা দুটি বিমান নিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন আর ধুলোবালির এক অকল্পনীয় বলয় সৃষ্টি করে তা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোমের মতো। ২০০১ সালের এ দিনটিতে তখন ওই ভবন দুটিতে ছিল কর্মজীবী মানুষে ভরা। সঙ্গে সঙ্গে চিরতরে হারিয়ে যান প্রায় তিন হাজার মানুষ। বলা হয়, ওই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আল কায়েদার তখনকার প্রধান ওসামা বিন লাদেন। ওই সময়ে তিনি অবস্থান করছিলেন আফগানিস্তানে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে তালেবানরা। এ কারণে আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। সন্ত্রাসী হামলার এ দিনটির ২০তম বার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র আজ নানা কর্মসূচি পালন করবে। অন্যদিকে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে যে, আজ শনিবারই তালেবানদের নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে। যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে ওই ভয়াবহ, নৃশংস হামলা হয়েছিল, সেই দিনটিকে কেন তারা বেছে নিলেন তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫-এর মহাপরিচালক কেন ম্যাকালাম বিবিসিকে বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ায় বৃটিশ সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার নির্বাচনের আগে থেকেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়ে সেই তৎপরতা শুরু করেন। প্রথম দিকে সেনা প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময়সীমা আজকের দিন ১১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পরে সেই সময় পরিবর্তন করে ৩১ আগস্ট করা হয়। সে অনুযায়ী তিনি সেনা ও সাধারণ জনগণকে উদ্ধার সম্পন্ন করেন। তারপর বৃহস্পতিবার কাবুল থেকে প্রথম বিদেশিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আকাশে ওড়ে। এদিন মার্কিনি, বৃটিশ, কানাডিয়ান ও ডাচ মিলেয়ে প্রায় ১০০ বিদেশি কাতার এয়ারওয়েজে করে কাতারের রাজধানী দোহা পৌঁছেন। দ্বিতীয় ফ্লাইট শুক্রবার দোহা পৌঁছে। এদিন প্রায় ১৫০ জনকে বহন করে নেয় কাতার এয়ারওয়েজ। ফ্রান্স নিশ্চিত করেছে যে, ওই ফ্লাইটে তাদের ৪৯ জন নাগরিক ছিলেন। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, এতে ১৯ জন মার্কিন নাগরিক ছিলেন। ওদিকে ওয়াশিংটনের সহায়তায় অন্য দুজন মার্কিন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ১১ জন আফগানিস্তান ছেড়েছেন। তারা আকাশপথে তৃতীয় একটি দেশে অবতরণ করেছেন।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.