মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- মোটরসাইকেলচালক বার্তা বিচিত্রা পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সোহাগ-উল ইসলাম রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান ভূঁইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভূঁইয়া।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেট সড়কের উল্টো দিক দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন রনি। এ সময় নিশানের মাথায় হেলমেট না থাকায় মোটরসাইকেলটি থামান সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ। এরপর তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন নিশান। এ সময় তারা চিৎকার শুরু করলে পাঠাও ও অটোচালকরা সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।
খবর পেয়ে শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল দত্ত অপুসহ ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। পরে আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এতে আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম বলেন, ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করতে আসা আরো দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করে আসামিরা। আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।