মেশিনটি বসানোর কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে বুধবার থেকেই বিমানবন্দরের সব যাত্রীকে এটির সাহায্যে পরীক্ষা করা হবে
নভেল করোনাভাইরাস (এনকভ-১৯) শনাক্ত করার জন্য চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে এতোদিন ধরে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েই চলছিল বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। অবশেষে সেখানে বসানো হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এসেছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
এছাড়া, চট্টগ্রাম নৌ-বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের পরীক্ষার জন্য খুব শিগগিরই একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন আগে থেকে ছিল। কিন্ত গত ৬-৭ মাস আগে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়ায় বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েই চলছিল দেশের বাইরে থেকে আসা দেশি ও বিদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ একটি মেশিন এসেছে। এটি বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে। আশাকরি বুধবার থেকে সব বিমানযাত্রীকেই থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। আরও একটি মেশিন শিগগিরই চট্টগ্রামে এসে পৌঁছবে। সেটি চট্টগ্রাম বন্দরে বসানো হবে।’’
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মাহমুদ আকতার বলেন, বিমানবন্দরের জন্য একটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন এসেছে। দুপুর থেকে এটি বসানোর কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে বুধবার থেকেই বিমানবন্দরের সব যাত্রীকে এটির সাহায্যে পরীক্ষা করা হবে।
জানা গেছে, চলিত বছরের প্রথম দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০ জানুয়ারি থেকে সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করলেও করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রতিদিন ৯ জন চিকিৎসক পালা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ করোনা শনাক্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও সেটিকে পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করছেন বিদেশ ফেরত যাত্রীরা।