রবিবার পর্যন্ত দেশটিতে এ রোগে মারা গেছেন ২৩০ জন, অন্যদিকে শনিবার এক ধাক্কায় ১,২০০ থেকে বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৮৮৩ জনে
চীনে উৎপত্তি হওয়া নভেল করোনাভাইরাসসৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগটি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
রবিবার (৮ মার্চ) পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ২৩০ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার এক ধাক্কায় ১,২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫,৮৮৩ জন। এদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী গ্যুসেপ কন্টে একটি প্রজ্ঞাপনে সাক্ষর করেছেন। প্রজ্ঞাপনে দেশটির উত্তরের লমবার্ডিসহ আরও ১৪ টা প্রদেশে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, আগামী এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির ১৪ টি প্রদেশে এক কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এসময় পর্যন্ত দেশটিতে ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, জাদুঘর ও স্কি রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে দেশটির উত্তরাংশে অচলাবস্থা তৈরি হবে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লমবার্ডি প্রদেশের পুরো উত্তর অঞ্চল যেখানে এক কোটি লোকের বাস, এছাড়া ইটালির বাণিজ্যিক নগরী মিলান লক ডাউন বা বন্ধ রাখা হবে তবে জরুরি ভিত্তিতে কিছু করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় হতে পারে। তবে দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র মিলান এবং পর্যটকদের মূল আকর্ষণ কেন্দ্র ভেনিসে এই পদক্ষেপ এপ্রিলের তিন তারিখ পর্যন্ত চলবে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের মত মানুষ উত্তর ইটালিতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের মূল খণ্ডের। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাডহ্যানম হেব্রেইয়েসাস। তিনি বিশ্বের সবদেশকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার রাতের মধ্যে নতুন করে ২১ জনের দেহে এই ভাইরাস ধরা পড়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এনিয়ে নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে।
শনিবার ইরানে নভেল করোনাভাইরাসে নতুন করে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে।