দর্পণ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতু, মুখের লালা বা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তবে গবেষকরা এমন কিছু ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। উপসর্গহীন এ ধরনের রোগীরা করোনা ছড়ানোয় কতটুকু ভূমিকা রাখছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
যেসব ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেক দিন আগে, কিন্তু তাদের কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি অর্থাৎ অসুস্থ হননি, তাদেরই উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী বলা হচ্ছে। তবে অ্যাসিম্পটমেটিকের সঙ্গে প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীর পার্থক্য রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর উপসর্গ দেখা দিতে সাধারণত বেশ কিছুদিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়ার আগপর্যন্ত এ ধরনের রোগীকে বলা হচ্ছে প্রি-সিম্পটমেটিক।
সাধারণত ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগীদেরই পাঁচ থেকে ছয়দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে পরিচিত উপসর্গগুলো হচ্ছে- জ্বর, সর্দি, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় খুসখুস, ডাইরিয়া, স্বাদহীনতা প্রভৃতি।
এখন পর্যন্ত এ প্রশ্নের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের উত্তর: হ্যাঁ! উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এ ধারণা বজায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এ বিষয়ে আরও জানতে গবেষণা চলছে।