দর্পণ ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল যেই উহান থেকে, সেই শহরেই চীন এবার দেখাল অভাবনীয় সাফল্য।  কদিন আগেই ‘১০ দিনের যুদ্ধ’ নামে এক কর্মসূচী শুরু করে চীনা কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য ছিল, উহানের এক কোটি ১০ লাখ নাগরিকের সবাইকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা। মে মাসের ১৪ তারিখে শুরু হয় ব্যাপক আকারে পরীক্ষা।

উহানের এক কোটির নাগরিকের পরীক্ষা শেষে করোনা মিললো দুশো ছয়জনের শরীরে। তবে যাদের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে, তাদের কারোরই আগে কোন লক্ষণ ছিল না। যে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে চীনা বিশেষজ্ঞদের। উহানের সবার  করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আবারো স্বাভাবিক করার  নিরাপদ উপায় বলেই মনে করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দুই সপ্তাহে শহরের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। শেষ একদিনেই করা হয় ১৫ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা। উদ্যোগ বাস্তবায়নে পরীক্ষাগারের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন কর্মকর্তারা। যদিও পশ্চিমা গণমাধ্যগুলো চীনের এসব সবাইকে পরীক্ষার দাবির বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে।

সবার পরীক্ষা শেষে যে ২০৬ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাদের কারোরই কোন উপসর্গ ছিল না। দেশটি বলছে ধীরে ধীরে দেশের আক্রান্ত এলাকাগুলোর সবাইকেই আনা হবে পরীক্ষার আওতায়।

দুই মাসেরও বেশি সময়ের কঠোর লকডাইনের পর শহরটি পুরোপুরি করোনামুক্ত হয়। গত এপ্রিলে লকডাউন তুলে নেয়ার পর বেশিদিন এ অর্জন ধরে রাখতে পারেনি শহরটি। মে মাসে উহানে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়।

মহামারী শুরুর পর থেকেই চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি কমিউনিস্ট দেশটি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সরব যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের বিষয়ে চীন তথ্য লুকিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেটি এড়িয়ে গেছে, এই অভিযোগে সংস্থাটিতে বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। চীনের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পক্ষপাতদুষ্ট এমন অভিযোগও করেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অভিযোগ খণ্ডন করতেই ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে বেইজিং।