গত মাসে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ঠিক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সভা থেকে আওয়াজ উঠেছিল ‘দেশ কো গাদ্দারকো’ ‘গুলি মারো, গুলি মারো’। ২৭ জানুয়ারির ওই সভা থেকে অনুরাগকে বলতে শোনা যায় ‘দেশ কো গাদ্দারকো’। এরপর সভায় উপস্থিত মানুষেরা তার উত্তরে স্লোগান দিতে থাকেন ‘গুলি মারো, গুলি মারো’।
বিষয়টি নিয়ে সেসময় বিতর্ক কম হয়নি। নির্বাচন কমিশনেও অনুরাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্টও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিরোধীদের অভিযোগ ওই উস্কানিমূলক স্লোগানের ফলেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন-চার দিন ধরে দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনা এবং এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
রবিবার একদিনের ঝটিকা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিএএ’এর সমর্থনে এদিন দুপুরে ধর্মতলার শহীদ মিনার ময়দানে বিজেপির সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সেই সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকদের গলাতেই শোনা গেল ‘দেশ কো গাদ্দারকো, গুলি মারো শালা কো’ স্লোগান। হাতে দলীয় পতাকা, মাথায় গেরুয়া টুপি নিয়ে শহীদ ময়দানের অমিত শাহের সভাস্থলে দিকে আগাতে দেখা যায়। এসময় সেখানে পুলিশ থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তরফে কোন বাধা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন