অনলাইন ডেস্ক : ভোজপুরি সুপারস্টার বলেই তাকে সকলে চেনেন। ভোজপুরি সিনেমার জগতে রবি কিষেণ একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। তবে শুধু ভোজপুরি সিনেমাতেই নয়, ‘লাক’, ‘লখনউ’, ‘বুলেট রাজা’র মতো বলিউডের ফিল্মেও কাজ করেছেন তিনি।

নারী মহলেও রবি কিষেণ বেশ জনপ্রিয়। যদিও রবি কিষেণ নিজেকে ‘ওয়ান ওম্যান ম্যান’ অর্থাৎ এক নারী কেন্দ্রিক পুরুষ বলেই দাবি করে এসেছেন। তবে কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে এই ‘ওয়ান ওম্যান ম্যান’ নিজেই জানিয়েছিলেন তার জীবনের এক চরম সত্যি কথা, যা শুনলে আপনিও হয়ত অবাক হবেন।

২০১৩ সালে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবি কিষেণ বলেন, তাকে জীবনে সঠিক পথে চলতে শিখিয়েছিলেন তার বাবা, তার বাবাই তার জীবনের শিক্ষক।

সুপারস্টার জানান, তিনি আমাকে জীবনের সব শিক্ষাই দিয়েছেন। নারী, মায়া, সম্পর্ক, বিচ্ছিন্নতা, সঠিক পথে যৌন সম্পর্ক, এসব বিষয়েই শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলে কীভাবে সবকিছু থেকে শরীর ও মনকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অকারণে এনার্জি খরচ করতে নেই।

বলেছিলেন, কখনও আমি যেন পুরুষ যৌন কর্মীতে পরিণত না হই। অকারণে প্রতিশ্রুতি দিও না। পাশাপাশি ‘ওয়ান ওম্যান ম্যান’ হওয়ার জন্য আমাকে কঠোর সংযত হতে শিখিয়েছিলেন।

রবি কিষেণ অবশ্য এও জানান, আমি সিনেমায় অভিনয় করি, এটা কোনওভাবেই চাইতেন না আমার বাবা। তিনি চেয়েছিলেন আমি দুধের ব্যবসা করি। বলতেন, এই তুমি নাচানাচি করে কী হতে চাইছো?

প্রসঙ্গত, ভোজপুরি সুপারস্টার রবি কিষেণের বাবা, শ্যাম নারায়ণ শুক্লা, বারাণসী সংলগ্ন ছোট্ট শহর বিসাইনের একটি মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন। অনেকেই হয় রবি কিষেণ সম্পর্কে এই তথ্যা জানেন না যে, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই অভিনেতা হওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন রবি কিষেণ।

১৯৯২ সালে তিনি প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পান। পীতাম্বর ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী ও রাজা মুরাদের বিপরীতে অভিনয় করেন। ৯ এর দশকে ‘আর্মি’, ‘আতঙ্ক’, ‘কিমত’, ‘কুদরত’-এর মতো একাধিক ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন রবি কিষেণ।

দীর্ঘদিন স্ট্রাগল করার পর ভোজপুরি সিনেমাতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেন রবি কিষেণ। তারপরেই আসে সাফল্য। ধীরে ধরে ভোজপুরি সুপারস্টার হয়ে ওঠেন তিনি।