গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরশহরে বর্ষার পানি জমে
জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারন করায় নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যহত
হচ্ছে। গত কয়েক দিনের অতিবর্ষনে জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছে পৌরবাসী।
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ ছোট খাল ও জলাশয় গুলোতে বাঁধ দিয়ে মাছ
শিকারের ফলে জলাবদ্ধতা এখন দূর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
জানা যায়, গলাচিপা পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডই বেড়িবাঁধের
মধ্যে। আর এসব ওয়ার্ডগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা
বর্ষনে জলাবদ্ধতার এ দূর্ভোগ সাধারন মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শহরের
জলাবদ্ধতা নিরসনে কয়েক বছর ধরে মাষ্টার ড্রেন করার কাজ চলমান থাকলেও
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের অসচেতনার কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।
গলাচিপা পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার কাউসার নাইম বলেন,
‘যখন ড্রেন করা হয় তখন কোন দিকে পানি আউট হবে তা সঠিকভাবে দেখা হয় না।
অনেক সময় ড্রেনের পানি যেদিকে নামার কথা কিন্তু ঘটে উল্টা। আবার কিছু
ড্রেন অসমাপ্ত থাকায় প্রতিনিয়ত এ দূর্ভোগ বাড়ছে।’
এদিকে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষনের পৌর এলাকার আনন্দপাড়া, সবুজবাগ, ভিআইপি
রোড, মসজিদ মহল্লা, টিএন্ডটি রোড এলাকা, বনানী, কর্মকারপট্টিসহ বিভিন্ন
এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকা বর্তমানে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দী মানুষ চেষ্টা করেও কোন উপায় করতে পারছে না। স্কুল কলেজের
শিক্ষার্থীসহ অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের যাতায়েত তুলনামূলক
কমে গেছে।
পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের হিরন কুমার শীল বলেন, ‘বর্ষা শুরু হলেই আনন্দ
পাড়ায় হাঁটু পানি হয়ে যায়। গত কয়েক বছর আগে একটি ড্রেন করা হয়েছে কিন্তু
উল্টো পানি আসে। আবার আনন্দপাড়ার ভিতর যে ড্রেনটি করা আছে তা দিয়ে পানি
সরে না।’
গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, ‘গত তিন দিন থেকে পৌরসভার
কয়েকটা টিম জলাবদ্ধতার কারণ খূঁজতে মাঠে রয়েছে। নার্সারী রোড এলাকার
প্রধান একটি ড্রেনের মুখে প্রভাবশালীরা বালির বস্তা, নেট দিয়ে আটকে রেখে
মাছ ধরছে। আমরা সে জায়গাটি উন্মুক্ত করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেছি।
এছাড়াও বিভিন্ন ড্রেনগুলো সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.